বিশ বছর পরে সেই লর্ডসেই

লর্ডসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। বিশ বছর পরে সেই লর্ডসেই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলল পাকিস্তান।

বিশ বছর পরে সেই লর্ডসেই

লর্ডসে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। বিশ বছর পরে সেই লর্ডসেই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রবেশ করেছেন দর্শকরা। লর্ডসের ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ। যে দল হারবে গ্রুপ পর্বে বিদায় নেবে তারাই। দারুণ এই ম্যাচ আহত প্রোটিয়াদের সামনে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৩০৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান।

টস জিতে লর্ডসে প্রথমে ব্যাটিং নেয় পাকিস্তান। দুই ওপেনার ভালো শুরু করেন। ফখর জামান এবং ইমাম-উল হক তুলে ফেলেন ৮১ রান। এরপর ইমরান তাহিরের স্পিন ঘূর্ণিতে দু'জন একটু পরপর আউট হন। দু'জনে ৪৪ করে রান তোলেন। এরপর বাবর আযম এবং মোহাম্মদ হাফিজ আবার জুটি গড়ে এগিয়ে যেতে শুরু করেন। হাফিজ ২০ রান করে ফিরে যান।

তবে বাবর আযম খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের রান বাড়ানোর আসল কাজটা করেছেন হারিস সোহেল। আসিফ আলীর জায়গায় দলে ফিরে তিনি ৫৯ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তিনিট ছক্কা এবং নয়টি চার মারেন তিনি। এছাড়া শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিম করেন ২৩ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ এ ম্যাচে সবাইকে চমক দিয়ে আটে ব্যাট করতে নামেন। তার আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয় ইমাদ ওয়াসিম এবং ওয়াহাব রিয়াজকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এ ম্যাচে লুঙ্গি এনগিডি ৯ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। ইমরান তাহির নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আন্দালি ফেলুকাও এবং এইডেন মার্করাম। কাগিসু রাবাদা ১০ ওভারে ৬৫ রান খরচা করেন। কোন উইকেট পাননি তিনি। এখন দেখার বিষয় পাকিস্তানের দেওয়া রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকাতে পারে কি-না।

জিততে হলে তাদের অবশ্য পাকিস্তানের তিন বাঁ-হাতি পেসারের বিপক্ষে ভালো করতে হবে। পাকিস্তান দলে এ ম্যাচে হাসান অলী নেই। বাঁ-হাতি পেসার শাহিন আফ্রিদি ফিরেছেন তার জায়গায়। পাকিস্তানের তিন পেসারই তাই বাঁ-হাতি। মোহাম্মদ আমির এবং ওয়াহাব রিয়াজ বাকি দুই বাঁ-হাতি পেসার। এছাড়া দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান দল